শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

গুনাহ থেকে বাঁচতে ইসতেগফার

মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ:
ইসতেগফার শব্দের অর্থ পাপকাজ থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। আল্লাহর অসংখ্য মহান গুণাবলির একটি হলো ক্ষমা করা। আল্লাহতায়ালা ‘গাফুরুর রাহিম’ অর্থাৎ পরম ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু। আর সব সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমার মানসিকতা পোষণ করা। যদিও ইসতেগফার অর্থ ক্ষমা প্রার্থনা করা, কিন্তু আল্লাহতায়ালা বান্দার ইসতেগফারে রেখেছেন অনেক উপকার ও ফজিলত।

ইসতেগফার ছিল হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি প্রিয় আমল। তিনি সব সময় নামাজের সালাম ফেরানোর পর ইসতেগফার পড়তেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাজের সালাম ফেরাতেন, তখন সর্ব প্রথম যে শব্দ তার পবিত্র জবান থেকে বের হতো তা হলো আসতাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।’

মুমিন এভাবে ইসতেগফার পড়বে যে, হে আল্লাহ! আমাদের থেকে আপনার ইবাদতের (নামাজের) হক আদায় হয়নি। না জানি কত ভুল এই ইবাদতে সংঘটিত হয়েছে। হে আল্লাহ! আমরা (নামাজের সালাম ফেরানোর পর পর সর্বপ্রথম সেসব ভুলত্রুটির জন্য আপনার কাছে ক্ষমা চাই, যা এই নামাজে সংঘটিত হয়েছে)।

কোরআনের অনেক আয়াতে আল্লাহতায়ালা বান্দাকে ইসতেগফার পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যারা আল্লাহর নির্দেশ মেনে ইসতেগফারের আমলে নিজেদের নিয়োজিত করেছে, তারাই সফলকাম হয়েছে। তারা আল্লাহর কাছে কোনো জিনিস চাইলে মহান আল্লাহ তা তাদের দান করেন।

ইসতেগফার প্রসঙ্গে কোরআনে এসেছে, ‘আর বলেছি, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ইসতেগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। (ইসতেগফার করলে) তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। তিনি তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন জান্নাত তথা বহু বাগান ও প্রবাহিত করবেন নদ-নদী।’ (সুরা নুহ ১০-১২) অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ‘আর তুমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।’ (সুরা নিসা ১০৬)

এক ব্যক্তি হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এমন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল, যে ব্যক্তি গুনাহ করার পর তওবা করে। পুনরায় গুনাহ করে। আবার তওবা করে, আবার গুনাহ করে। আবার গুনাহের কাজে মশগুল হয় এবং আবার তওবা করে। এ রূপ করতে থাকা ব্যক্তির কী অবস্থা হবে? হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, তার কর্তব্য হলো সর্বদা তওবা-ইসতেগফার করতে থাকা। কেননা তওবা ইসতেগফার অব্যাহত থাকলে শয়তান ব্যর্থ হয়ে যাবে। শয়তান বলবে, এ ব্যক্তিকে গুনাহর কাজে সর্বদা মশগুল রাখতে আমি অক্ষম।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION